স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ৭ মাস হতে চললো। চারিদিকে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। এর কারন মুলত দুটি। এক- পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয়। তাদের প্রেতাত্বারা সরকারের ও সরকারের বাইরে বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের অপঃতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ও বিপ্লবী শক্তিকে অসাড় প্রমান করার জন্য। দুই- বিপ্লবী শক্তি একক শক্তি হয়ে কঠিন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
আমরা দেখেছে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সরকারের সকল ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের উপর গণহত্যা চালিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে সেনা বাহিনীর অফিসাররা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় শেখ হাসিনা ও তার নেতৃস্থানীয় কিছু দোসররা।
ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর সময়, সেনাবাহিনীর সাথে শেখ হাসিনার কি সমঝোতা হয়েছিল তা দেশবাসী জানে না। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি। তাদের ৬২৬ জন কে সেনাবাহিনী আশ্রয় দিয়েছিল এবং সময় মত পালাতে সাহায্য করেছে। কেন? তারা কি বাধ্য হয়েছিল? তাদের চাকুরি যাওয়ার ভয় নাকি দুর্নীতির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ কেঁড়ে নেয়ার হুমকি নাকি অপকর্মের প্রমাণ জনগণের সামনে প্রকাশ করা। তারাই চালো বলতে পারবেন।
গতকাল (মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ উপলক্ষ্যে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সবাইকে সাবধান হওয়ার কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে-আমি সতর্ক করিনি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম। নইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের।’
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করবে কে। কোন বিদেশী শক্তি? একমাত্র ভারত ছাড়া কেও হতে পারে না। তাহলে কি সেনাপ্রধান ভারতে হস্তক্ষেপ হবে বলে সতর্ক করলেন। ভারতের সেনাপ্রধান, বলেছিলেন জুলাই আগস্টের উত্তাল আন্দোলনের সময় সার্বক্ষণিক বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সাথে যোগাযোগ ছিল। তবে কি এখনো হচ্ছে।
একটি স্বাধীন তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই কেন তিনি (সেনাপ্রধান) বললেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দায় শুধুই বিডিআর জোয়ানদের। সে কি বুঝাতে চাইছে। জাতি জানতে চায়।