দেশজুড়ে চাঞ্চল্যকর ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনা বেশ অসস্থিতে ফেলেছে বিপ্লবী সরকারকে। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনা করছে যৌথবাহিনী। তাতেও স্বস্তি মিলছে না। এরই মধ্যে কিছু বিক্ষোভকারীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য বিক্ষোভ করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম পদত্যাগের না করে নতুন ভাবে আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে মনে হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার কথা শুনছেন না। কারন, তারা আগের মত ফ্রি-স্টাইলে ঘুষ দুর্নীতি থেকে বেশ কিছুটা দুরে আছে। আবার বিগত সরকারের ছায়া থেকে বেরুতে পারছে না। এটাও অনেকটা উদ্বেগের কারন। যৌথবাহিনীর টহল বারিয়েও আশানোরুপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সক্রিয় করা ও অনুপ্রাণিত করা (যেটা আসলে অসম্ভব! কারন এরা ভয়ঙ্কর দুর্নীতিগ্রস্থ আওয়ামী ফ্যাসিস্টে বুদ হয়ে থাকা অনুগত)। আর সকল সংগঠিত ও অপরিকল্পিত অপরাধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় হয়ে থাকে। তবুও চেষ্টা করে দেখতে যেতে পারে!
আমি মনে করি, সবাইকে প্রথম ধাপে সতর্ক করা, তারপর অপরাধী সনাক্ত করে প্রকাশ্যে এমন শাস্তি দেয়া যা দেখে আর কেও অন্যায় করার সাহস পাবে না। আর এটাকে প্রচার করা, যেন সবাই বুঝতে পারে অপরাধ করে কেও পার পায় না। কারন, আমাদের সমাজের বিচার ব্যবস্থা এমন, অন্যায় করে অপরাধীরা দিনের পর দিন পার পেয়ে যাচ্ছে। যে সমাজে বিচার ব্যবস্থা দুর্বল সেখানে অপরাধ দিন দিন বারবে, এটাই স্বাভাবিক।
তবে এটাও ঠিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আইন আদালত ও জন প্রতিনিধি কেওই চায় না অপরাধ কমে বা বন্ধ হয়ে যাক। কারন এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবার পকেটে মোটা অঙ্কের বানিজ্য হয়ে থাকে। শাস্তি পেলে অপরাধ কমনে এটা পাগলেও বুঝে।
আমরা দিনের পর দিন খবরে দেখি অপরাধ সংগঠিত হওয়ার কিন্তু বিচার ও শাস্তির খরব শুনি না। ভুক্তভোগী সবাই জানে, কোথায় কিভাবে দুর্নীতি ও অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে।