ক্রীড়া ডেস্ক:
বিপিএলের অপরাজেয় যাত্রাটা আজ আরো দীর্ঘায়িত করেছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এবং আকিফ জাভেদ। পাকিস্তানি পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়েই আজ চিটাগাং কিংসকে ৩৩ রানে হারিয়েছে রংপুর। এই জয়ে অবশ্য আকিফের স্বদেশি খুশদিল শাহর অবদান অনবদ্য।
ব্যাটিংয়ে ৫৯ রানের পর বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। বিপিএলে টানা অষ্টম জয় রংপুরের। অন্য দলগুলো যখন একটা জয়ের জন্য হাপিত্যাশ করছে তখন কি অবলীলায় জিতে যাচ্ছে রংপুর। টানা এত জয়ের পর তাই মনে প্রশ্নে জাগতেই পারে এই রংপুরকে থামাবে কারা?
আজ রান তাড়ার শুরুতেই ধাক্কা খায় চিটাগাং।
ইনিংসের প্রথম বলেই দুর্দান্ত ছন্দে থাকা উসমান খান ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন। তাকে ‘গোল্ডেন ডাকের’ তিক্ত স্বাদ দেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলাম। তবে আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ঠিকই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পসরা সাজান। অবশ্য ইনিংসটা খুব বেশি দূর যায়নি। ১৪ বলে সমান ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানে থেমেছে।
পারভেজকে ফিরিয়েই রংপুরকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেওয়ার কাজটা করেন আকিফ জাভেদ। ফিরতি ওভারে মোহাম্মদ মিঠুন (২) ও গ্রাহাম ক্লার্ককে (২৩) আউট করে রংপুরকে টানা অষ্টম জয়ের পথটা প্রশস্ত করে দেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার। তবে ছয়ে নেমে রংপুরের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ম্যাচটা প্রায় বেরই করেছিলেন শামীম।
তবে অন্য প্রান্তে সতীর্থরা সঙ্গী দিতে না পারায় ওভার প্রতি প্রয়োজনীয় রানটা বাড়তেই থাকে। সঙ্গে তার ব্যাটিং সঙ্গী হন বোলার। এতে করে ইফতিখার আহমেদকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ৩৮ রানে রাকিবুলের হাতে তালুবন্দি হন তিনি। ৩ ছক্কা ও ১ চারের ইনিংসটি শেষ হতেই চিটাগাংয়ের জয়ের আশাও শেষ হয়ে যায়।
ইফতিখার রংপুরের জয়ের পথে কাঁটা হওয়া শামীমকে আউট করলেও তার আগের ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে বোল্ড করে জয়টা আরো সহজ করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়া আকিফ। পরে সব মিলিয়ে চিটাগাং ১৩১ রানের বেশি করতে না পারলে রংপুরের অপরাজেয় যাত্রাটা আটে দাঁড়ায়।