বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেল। ২০০০ সালে হৃতিক রোশনের সঙ্গে ‘কাহো না প্যায়ার হ্যা’ দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয় তার। প্রথম সিনেমাই বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার খেতাব পায়। এরপর তার ক্যারিয়ারে অন্যতম মাইলফলক হয়ে আসে সানি দেওলের সঙ্গে ‘গাদার’ সিনেমাটি।
অলটাইম ব্লকবাস্টার হয়ে যায় এটি। তবে সেই খ্যাতিও ধরে রাখতে পারেননি আমিশা। এরপর বেশ কিছু সিনেমা ফ্লপ হয় তার। বর্তমানে সেভাবে পর্দায় দেখা মেলে না আমিশার।
তবে এ নায়িকাকে ঘিরে ভক্তদের কৌতূহল কম নয়। আমিশার অভিনয়জীবনের মতোই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের কৌতূহল চোখে পড়ার মতো। ব্যক্তিজীবনে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কের কথা শোনা গেলেও এখনো বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি এ নায়িকা। তার সঙ্গে জড়িয়েছে রণবীর কাপুর কিংবা প্রীতি জিনতার সাবেক প্রেমিকের নামও।
তবে এসব গুঞ্জনকে শুধুই গুঞ্জন উল্লেখ করলেন এ নায়িকা।
সম্প্রতি ফিল্মি মন্ত্র-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওঠে আসে আমিশার ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক। সেখানে প্রেম, ডেটিং প্রসঙ্গে অভিনেত্রী খোলামেলা জবাব দেন। প্রীতি জিনতার সাবেক প্রেমিক নেস ওয়াডিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও সমীকরণ স্পষ্ট করে আমিশা প্যাটেল বলেন, ‘নেস এবং আমি তিন প্রজন্মের পারিবারিক বন্ধু। তার দাদা, আমাদের বাবা-মা এবং এখন আমরা—সবাই একই সাউথ বম্বে সার্কেলের অংশ।
এই গুজবগুলো সম্ভবত এসেছে কারণ নেস সুদর্শন, যোগ্য এবং আমিও তাই। মানুষ ধরে নিয়েছে আমরা জুটি।’
নেসের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব এখনও অটুট আছে জানিয়ে আমীষা আরও বলেন, ‘আসলে, নেসের বাবা-ই আমাকে ক্যাথেড্রাল স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। আমাদের পরিবারগুলো একসঙ্গে বড়দিনের ছুটিতে যেত। এমনকি আমাদের একসঙ্গে শৈশবের ছবিও আছে।’
তাদের কখনও ডেটিং হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আমীষা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘না, না, না।’
অন্যদিকে রণবীর কাপুরের সঙ্গে ডেটিংয়ের প্রসঙ্গটিও ওঠে আসে কথোপকথনে। রণবীর কাপুর প্রসঙ্গে আমিশা বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বহু হাই-প্রোফাইল পার্টিতে গিয়েছি। কোনো এক বছর যখন আমরা অনেক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ছিলাম,তখনই এসব গুঞ্জন শুরু হয়। কখনো রণবীরের বাড়িতে, আরকে বাংলোতে, আবার কখনো সাইফের মতো বন্ধুদের সঙ্গে বসে বিশ্বকাপ দেখতাম। সেই সময়কার অনেক ছবি ভাইরাল হয়েছিল।’
আমিশা আরও জানান, শুধু রণবীর আর তিনিই নন, বরং তাদের পরিবারগুলোও একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছে। আমিশা বলেন, ‘রাজ কাপুর আমার দাদার অন্তিম সংস্কারে কাঁধ দিয়েছিলেন। ঋষি আঙ্কেল, ববিতা জি, আমার বাবা-মা—সবাই বহু থেকে থেকেই বন্ধু ছিলেন। বহু বছর ধরেই আমাদের কাপুর পরিবারের সঙ্গে সংযোগ আছে।’
ক্যারিয়ারের শুরুতে ব্যাপক আলোড়ন ফেললেও এক সময় গিয়ে আমিশার গ্ল্যামার ফিকে পড়ে যায় বলিউডে। একের পর এক সিনেমার ব্যর্থতায় বলিউডের লাইমলাইট থেকে দুরে চলে যান অভিনেত্রী। তবে পর্দায় ফেরেন নিজের সবচেয়ে সফল সিনেমার সিক্যুয়াল দিয়েই। ২০২৩ সালে সানি দেওলের সঙ্গে গাদারের সিক্যুয়ালে অভিনয় করেন আমিশা। এটি অলটাইম ব্লকবাস্টার হয় বক্স অফিসে।